Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
৬নং ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ
বিস্তারিত

ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের ইতিহাস

রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় পর্ব দিকে ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত । এর আয়তন ৬,৬৪০একর । জনসংখ্যা ৪০,০০০ হাজার প্রায় । শিক্ষিত জনসংখ্যা হার ৪৬.৮% । শতকরা ৯০ জন কৃষি নির্ভর । সামান্য একটি অংশ ব্যবসা ও চাকুরী নির্ভর । ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ  এলাকার উত্তরে চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ। এলাকা দক্ষিণে বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়। ইউনিয়নের পশ্চিমে চারঘাট উপজেলার চারঘাট এবং সারদা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা আর পূর্বে বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন।

   

   এলাকাটি আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারণ হিসাবে দেখা যায় এলাকায় শিক্ষিত মানষের সংখ্যাছিল একেবারেই নগন্য । রাস্তাঘাট ছিলনা । বর্ষাকালে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল গরুর গাড়ী । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে মাত্র ৩টা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় । শিক্ষিত নারীর নাম কনেও শোনা যেত না । কৃষিখাত ছিল প্রকৃতি নির্ভর । পরবর্তীতে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসারিত হয়েছে । ১৮টি গ্রাম নিয়ে গঠিত অত্র ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বর্তমানে ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯ মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১টি দাখিল মাদ্রাসা, দুইটি উচ্চমাধ্যমিক কলেজ ৩টি টেকনিক্যাল কলেজ আছে । এ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে গণশিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি নারী শিক্ষার হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে । যা আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ।

 

    ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার এই প্রত্যেকে জন পদের প্রাণ কেন্দ্র হচ্ছে ডাকরা বাজার । চারঘাট উপজেলা সদর পাকা রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত হওয়ায় ব্যবসা বানিজ্য প্রসারিত হচ্ছে । ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়নের খেজুরগুড় দেশের অভ্যন্তনে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে । এছাড়াও ভায়ালক্ষীপুর ইউনিয়ন আমের জন্য বিখ্যাত। অন্যান্য কৃষি পন্য নিজেদের চাহিদা পূরন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তা রপ্তানী করা যাচ্ছে ।

 

   পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়ায় ক্ষুদ্র শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি লক্ষনীয় । যদিও এখন পর্যন্ত কোন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেনি বিধায় বেকারত্ব দিনদিন বাড়ছে । এলাকার প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছেনি তার সংখ্যা ৫ শতাংশ হতে পারে ।

 

   চিত্ত বিনোদনের কোন সুযোগ সুবিধা নাই বললেই চলে । পূর্বে এই এলাকায় গ্রামীন যাত্রাপালার দল ছিল । রুপবান, সাপুড়ের মেয়ে, আলোমতি প্রেমকুমার ইত্যাদি যাত্রাপালা আর মনসা মঙ্গল, শিব মঙ্গল, আঅলকাপ, ভাসান, মাদার গানে এলাকার মানুষকে মাতোয়ারা করে রাখতো । এখন সেগুলো শুধুই ইতিহাস শুধুই অতীত । উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা না থাকার কারনে নতুন শিল্পী গোষ্ঠীর আবির্ভাব হচ্ছেনা, মুক্তিযোদ্ধা খলিল, রনজিৎ মাষ্টার, আসরাফুল ইসলাম খসরু, নজরুল ইসলাম সহ আরো বেশ কিছু যাত্রা ও নাট্য প্রতিভা এখনো আছ্নে উপযুক্ত সহযোগীতা পেলে তারা উদীয়মান তরুনদের গড়ে তুলে এই ক্ষেত্রটির প্রসার ঘটাতে পারে । নতুন প্রজন্ম এ ক্ষেত্রে বঞ্চিত থাকায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় দুধের স্বাদ ঘোলে মিটায় ।

 

    স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই জন পদের মানুষ অনেকটাই সুবিধা বঞ্চিত । তিনটি স্যাটালাইট ক্লিনিক সহ একটি পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র আছে । যেখানে মা ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় । অন্যান্য ক্ষেত্রে মানুষ দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা রাজশাহী শহরে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে ।

 

      আইন শৃংখলার ক্ষেত্রে এলাকা শান্তিপূর্ণ বলা যায় । রাজনৈতিক সহন শিলতা বিদ্যমান । উগ্র জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা নাই । মাদকের কিছুটা প্রভাব থাকলেও দেশীয় মাদক উৎপাদনের ক্ষেত্রেগুলি প্রশাসনিক তৎপরতায় উচ্ছেদ করা হয়েছে । বাল্য বিবাহের প্রবনতা এখনো সামাজে বিদ্যমান । অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া এলাকা শান্ত ও শান্তিপূর্ণ ।

 

     কৃষি ক্ষেত্রে মাছ চাষ ব্যপক বিস্তার লাভ করেছে । তবে আবাদী কৃষি জমি পুকুর খনন করতে গিয়ে সংকুচিত হচ্ছে । পশু পালনের মাধ্যমে আর্থিক অগ্রগতি লক্ষনীয় ।

 

    আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলতে এই এলাকায় কিছুই নাই । তবে ব্রাক, গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, ব্যুরো বাংলাদেশ সহ কিছু এনজিওর আর্থিক সহযোগীতা ও ক্ষদ্র ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা, পশু পালন ও কৃষিখাত সমৃদ্ধি লাভ করেছে ।